Ayatul Kursi | আয়াতুল কুরসি | আয়াতুল কুরসি বাংলা উচ্চারণ সহ || ayatul kursi bangla uccharon

Ayatul Kursi | আয়াতুল কুরসি | আয়াতুল কুরসি বাংলা উচ্চারণ সহ || ayatul kursi bangla uccharon










https://namazshikhaa2z.blogspot.com/

اللَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ لَا تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَلَا نَوْمٌ لَهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ مَنْ ذَا الَّذِي يَشْفَعُ عِنْدَهُ إِلَّا بِإِذْنِهِ يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ وَلَا يُحِيطُونَ بِشَيْءٍ مِنْ عِلْمِهِ إِلَّا بِمَا شَاءَ وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ وَلَا يَئُودُهُ حِفْظُهُمَا وَهُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيمُ

 

উচ্চারণঃ আল্লাহু লাইলাহা ইল্লাহুওয়াল হাইয়্যুল ক্বইউম, লাতা’খুযুহু সিনাতুওঁ ওয়ালা নাওম, লাহু মাফিস্* সামাওয়াতি ওয়ামা ফিল আরয। মানযাল্লাযি ইয়াশ্*ফাউ ইন্*দাহু ইল্লা বিইযনিহ। ইয়ালামু মা বাইনা আইদীহিম ওয়ামা খালফাহুম, ওয়ালা ইউহীতূনা বিশাইয়িম মিন ইলমিহি ইল্লা বিমাশাআ ওয়াসিয়া কুরসিয়্যুহুস সামাওয়াতি ওয়াল আরযা, ওয়ালা ইয়াউদুহু হিফযুহুমা ওয়াহুওয়াল আলিয়্যুল আযীম।

 

অর্থঃ আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো উপাস্য নেই, তিনি জীবিত, সবকিছুর ধারক। তাঁকে তন্দ্রাও স্পর্শ করতে পারে না এবং নিদ্রাও নয়। আসমান ও যমীনে যা কিছু রয়েছে, সবই তাঁর। কে আছ এমন, যে সুপারিশ করবে তাঁর কাছে তাঁর অনুমতি ছাড়া? দৃষ্টির সামনে কিংবা পিছনে যা কিছু রয়েছে সে সবই তিনি জানেন। তাঁর জ্ঞানসীমা থেকে তারা কোনো কিছুকেই পরিবেষ্টিত করতে পারে না, কিন্তু যতটুকু তিনি ইচ্ছা করেন। তাঁর সিংহাসন সমস্ত আসমান ও যমীনকে পরিবেষ্টিত করে আছে। আর সেগুলোকে ধারণ করা তাঁর পক্ষে কঠিন নয়। তিনিই সর্বোচ্চ এবং সর্বাপেক্ষা মহান।

 

বিস্তারিতঃ (১) হজরত আলী (রা.) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সা.-কে এই মিম্বরের কাঠের উপর বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ সালাতের পর আয়াতুল কুরসী নিয়মিত পড়ে, তার জান্নাত প্রবেশে কেবল মৃত্যুই অন্তরায় হয়ে আছে। যে ব্যক্তি এ আয়াতটি বিছানায় শয়নের সময় পড়বে আল্লাহ তার ঘরে, প্রতিবেশির ঘরে এবং আশপাশের আরো অন্যান্য ঘরসহ নিরাপত্তা দান করিবেন। [সুনানে বায়হাকী]

(২) হযরত আলী(রাঃ) বলিয়াছেন, আমি মনে করিনা যে, এমন কোন ব্যক্তি যে জন্মগতভাবে মুসলমান হইয়াছে বা সাবালক হওয়ার পর মুসলমান হইয়াছে আর সে এই আয়াত


اللَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ


পাঠ না করিয়া রাত্র অতিবাহিত করিতে পারে। হায়, যদি তোমরা জানিতে, এই আয়াতের মর্তবা কি ! তোমরাদের নবীকে এই আয়াত আরশের নিচে অবস্থিত খাজানা বা ভান্ডার হইতে দান করা হইয়াছে এবং তোমাদের নবীর পূর্বে অন্য কোন নবীকে ইহা দেওয়া হয় নাই। আমি এই আয়াত প্রতি রাত্রে তিনবার পাঠ করিয়া শয়ন করি। এশার পরে দুই রাকাতে ও বিতরের নামাজেও উহা পাঠ করি এবং বিছানায় শয়নের সময়েও উহা পাঠ করি । (কানয)

(৩) হযরত উবাই বিন কা'ব (রাযিঃ) বর্ননা করেন যে, রাসূল (স:) আমাকে এরশাদ করিয়াছেন, হে আবুল মুনাজির ! ইহা হযরত উবাই বিন কাব (রাযিঃ)এর উপনাম। তোমার জানা আছে কি, তোমার নিকট কিতাবুল্লার সর্বাপেক্ষা মর্যাদাসম্পন্ন আয়াত কোনটি? আমি আরজ করিলাম আল্লাহ্‌ ও তার রাসুল-ই সর্বাপেক্ষা বেশুই জানেন। নবী করীম (সঃ) দ্বিতীয়বার জিজ্ঞাসা করিলেন, আবুল মুনাজির! তোমার জানা আছে কি, কিতাবুল্লাহর সর্বাপেক্ষা মর্যাদাসম্পন্ন তোমার নিকট কোনটি? আমি আরজ করিলাম, "اللَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ" (আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুআল্ হাইয়্যূল কাইয়্যূম) [আয়াতুল কুরসী]। তিনি আমার সিনার উপর হাত মারিলেন (যেন এইরূপ উত্তরের কারনে সাবাশ দিলেন) এবং এরশাদ করিলেন, হে আবুল মুনযির ! তোমার জন্য এলেম মোবারক হউক। [সহীহ মুসলিম]

এক রেওয়াতে আয়াতুল কুরসী সম্পর্কে এরশাদ করিয়াছেন, সেই পাক জাতের কছম, যাহার হাতে আমার প্রান, এই আয়াতের একটি জিহ্বা ও দুইটি ঠোট রহিয়াছে, ইহা আরশের পায়ার নিকট আল্লাহ্‌ তায়ালার পবিত্রতা বয়ান করে। (মুসনাদে আহমদ, মাজমায়ে যাওয়ায়েদ)

(৪) শয়তানের প্রভাব থেকে বাঁচার আয়াত: হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূল সা. বলেছেন, সূরা বাকারায় একটি শ্রেষ্ঠ আয়াত রয়েছে, যে ঘরে আয়াতুল কুরসী পাঠ করা হবে সেখান থেকে শয়তান পালাতে থাকে। [মুসতাদরাকে হাকিম]

(৫) জান্নাতের দরজা: আবু উমামা রা. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রতি ফরয নামায শেষে আয়াতুল কুরসী পড়ে, তার জান্নাতে প্রবেশ করতে মৃত্যু ছাড়া কোনো কিছু বাধা হবে না। [নাসায়ী]

(৬) মর্যাদাসম্পন্ন মহান আয়াত: আবু জর জুনদুব ইবনে জানাদাহ রা. রাসূল সা.-কে জিজ্ঞেস করেছিলেন, হে আল্লাহর রাসূল সা. ! আপনার প্রতি সবচেয়ে মর্যাদাসম্পন্ন কোন আয়াতটি নাজিল হয়েছে? রাসূল সা. বলেছিলেন, আয়াতুল কুরসী। [নাসায়ী]

(৭) হযরত আবু হোরায়রা (রাযিঃ) হইতে বর্নিত আছে যে, রাসুলুল্লাহ (সঃ) এরশাদ করিয়াছেন, প্রত্যেক জিনিসের একটি চূড়া হয় (যাহা সবার উপরে ও সর্বোচ্চ থাকে) । কুরআনে কারীমের চূড়া হইল সূরা বাকারাহ। উহাতে একটি আয়াত এমন আছে যাহা কুরআন শরীফের সমস্ত আয়াতের সর্দার, - আর তাহা আয়াতুল কুরসী। (তিরমিযী)

(৮) হযরত আবু হোরায়রা (রাযিঃ) হইতে বর্নিত আছে যে, রাসুলুল্লাহ (সঃ) এরশাদ করিয়াছেন, প্রত্যেক জিনিসের একটি চূড়া হইয়া থাকে (যাহা সকলের উপরেও সর্বোচ্চ থাকে), কুরআনে কারীমের চূড়া হইল সূরা বাকারাহ। উহাতে একটি আয়াত এমন আছে যাহা কুরআন শরীফের সমস্ত আয়াতের মর্যাদার। আর উহা হইল আয়াতুল কুরসী। (তিরমিযী)

(৯) হযরত মাকেল ইবনে ইয়াসার (রাযিঃ) হইতে বর্নিত আছে যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন, কুরআনে কারীমের চূড়া অর্থাৎ সর্বোচ্চ অংশ হইল সূরা বাকারাহ। উহার প্রত্যেকের সহিত আশিজন ফেরেশতা অবতরন করিয়াছেন এবং আয়াতুল কুরসী আরশের নিচ হইতে বাহির করা হইয়াছে। অর্থাৎ আল্লাহ্‌ তায়ালার বিশেষ খাজানা হইতে নাজিল হইয়াছে। অতঃপর উহাকে সূরা বাকারার সহিত মিলাইয়া দেওয়া হইয়াছে--অর্থাৎ উহার মধ্যে শামিল করা হইয়াছে। সূরা ইয়াসিন কুরআনে কারীমের দিল। যে ব্যক্তি উহাকে আল্লাহ্‌ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জন এবং আখিরাতের নিয়তে পড়িবে অবশ্যই তাহার মাগফিরাত করিয়া দেওয়া হইবে। অতএব এই সূরা নিজেদের মরনাপন্ন লোকদের নিকট পাঠ কর (যেন রূহ বাহির হইতে সহজ হয়)। (মুসনাদে আহমাদ)

ফায়দাঃ হাদীস শরীফে সূরা বাকারাকে কুরআন কারীমের চূড়া সম্ভবতঃ এইজন্য বলা হইয়াছে যে, ইসলামের বুনিয়াদী উসূল, আকীদাসমূহ ও শরীয়তের হুকুমসমূহের বিস্তারিত বর্ননা যেরূপ সূরা বাকারাতে করা হইয়া এই পরিমান ও এরূপ কুরআনে কারীমের আর কোন সূরায় করা হয় নাই। (মাআরিফে হাদীস)

Comments